কখনো কি ভেবেছেন ঘুমানোর সময় আপনার পা দুটি কোনদিকে মুখ করে থাকে? যদি দরজার দিকে পা দিয়ে ঘুমান, তাহলে আজই তা পরিবর্তন করুন। কারণ ভারতীয় ও চীনা সংস্কৃতিতে একমাত্র মৃতদেহকে এভাবে শুইয়ে রাখার নিয়ম। এমনকি, ভারতীয় বাস্তু শাস্ত্র ও চীনের ফেং শুইতেও দরজার দিকে পা করে শোওয়া অমঙ্গলজনক বলে মনে করা হয়।
ফেং শুইতে ‘চি’ নামের সর্বজনীন শক্তিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। বলা হয়, মানবশরীরের অভ্যন্তর ও বাইরে এই শক্তিই সমস্ত কাজকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এই ‘চি’র আবার দু’টি ধরণ- শুভ ও অশুভ। আমরা যখন ঘুমোই তখন একটানা সাত-আট ঘণ্টার জন্য আমাদের শরীর একেবারে নিশ্চল অবস্থায় থাকে। এসময় আমাদের শরীরের চারদিকে ইতিবাচক বা মঙ্গলজনক ‘চি’ একটি সুরক্ষাবলয় গড়ে তোলে। কিন্তু দরজার দিকে পা করে ঘুমলে এই মঙ্গলজনক ‘চি’ শরীর থেকে বের হয়ে দরজা দিয়ে ঘরের বাইরে চলে যায়। শুধু তাই নয়, ক্ষতিকর ‘চি’ ওই দরজার পথেই ঘরে প্রবেশ করে এবং পায়ের দিক থেকে আক্রমণ করে শরীরকে।
ফেং শুই বলে, আমরা যখন ঘুমাই, তখন আমাদের শরীরের অভ্যন্তরস্থ আত্মা একেবারে অরক্ষিত অবস্থায় থাকে। সেই সময়ে অশুভ ‘চি’র আকর্ষণে আত্মা শরীর ছেড়ে বেরিয়ে পর্যন্ত যেতে পারে। যার পরিণাম মৃত্যু। অবশ্য মৃত ব্যক্তির ওপর ক্ষতিকর বা উপকারী কোনো ‘চি’রই প্রভাব নেই। তাই মৃতদেহ শায়িত রাখা হয় দরজার দিকে পা করে।
বাস্তু বা ফেং শুই মতে, কখনোই দরজার দিকে পা করে শোওয়া উচিৎ নয়। খাট বা শোওয়ার অভ্যাস প্রয়োজন মতো বদলে নিতে হবে। যদি কোনো কারণে তা একান্তই অসম্ভব হয়, তাহলে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে হবে।